সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :: কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ফ্রান্সের অনুদানে ইউএনএইচসিআর-এর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ মানবিক সহায়তা ও সুরক্ষার জন্য ফ্রান্স সরকার ১.৫ মিলিয়ন ইউরো (১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমতুল্য) অনুদান দিয়েছে।
ফ্রান্স সরকারের এই অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা (ইউএনএইচসিআর)।
৩ জুলাই ইউএনএইচসিআর প্রেরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
ইউএনএইচসিআর বলছে, বিগত ২০১৭ সালের পর থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী মানবিক সহায়তার উপর নির্ভর হয়ে রয়েছে।
ফ্রান্সের এই সহায়তায় শরণার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের প্রত্যয় বজায় রাখা যাবে।
সেইসাথে রোহিঙ্গাদের রান্নার জন্য লাকড়ির বিকল্প পরিচ্ছন্ন জ্বালানীর ব্যবস্থা করা যাবে, যার মাধ্যমে বন উজাড় ও কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ প্রতিরোধ করে জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধি সুম্বুল রিজভি বলেন, ফ্রান্স রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য চলমান মানবিক কর্মকান্ডের এক অবিচল সমর্থক।
এই উদার অনুদান রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নসহ মানবিক সাহায্য ও সুরক্ষা সহায়তা নিশ্চিত করবে।
এটি কক্সবাজারের পরিবেশের সফল পুনঃবাসনের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে জলবায়ু পরিবর্তন ও শরণার্থী পরিস্থিতিতে থাকা স্থানীয় জনগণকেও সহায়তা করবে।
ফ্রান্সের এই নতুন অনুদানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের পর ইউএনএইচসিআর আশা করে মানবিক কর্মকান্ডের তহবিলের ঘাটতি মেটাতে অন্যান্য দাতারাও পুনরায় এগিয়ে আসবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই বলেন, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশকে ফ্রান্স অভিবাদন জানায়। আমরা শরণার্থীদের আরও ভালো সুযোগ তৈরির জন্য কাজ করে যাবো। আশা করবো তাদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, স্বেচ্ছায় ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য।
আমাদের অগ্রাধিকারগুলো হচ্ছে ক্যাম্পের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা ও জোরপূর্বক বার্মায় ফেরত পাঠানোর ঘটনা নিয়ে কাজ করা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবিকার সুযোগ তৈরি করা।
উল্লেখ্য যে চলমান বছরের (২০২৪ সাল) মানবিক সংস্থাগুলি রোহিঙ্গা শরণার্থী ও তাদের আশ্রয় প্রদানকারী স্থানীয় বাংলাদেশীসহ প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে ৮৫২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের কিছু বেশি অর্থের আবেদন জানিয়েছিল। এই বছরের মাঝামাঝি সময়ে চলমান যৌথ মানবিক কর্মকান্ডের ৩০ শতাংশেরও কম অর্থায়ন সম্ভব হয়েছে।
ফ্রান্সের যৌথ আয়োজনে গত বছরের বিশ্ব শরণার্থী ফোরামে শরণার্থীদের আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধির জন্য যেসব পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেগুলো বাস্তবায়নেও বিশ্বকে এগিয়ে আসতে হবে। এটি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের উদারভাবে আশ্রয় দিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ সরকারের উপর চাপ কমাতে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
Posted ৯:৫৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪
coxbangla.com | Chanchal Das Gupta